Ticker

200/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

খাবার হিসেবে আমাদর কি গ্রহন করা উচিত!!!

👉ছন্দগ্য উপনিষদ মতে, সত্ত্ব, রজ, তম উপাদান

খাদ্যের মাধ্যমেও আমাদের মনকে পরিচালিত
করে। সত্ত্ব, রজ, তম উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্যের
উদাহরণ নিম্নে দেয়া হল-

👉 সাত্ত্বিক(সত্ত্ব গুণ প্রধান) খাদ্য- গরুর দুধ,
ঘী, মাখন, ফল, শুষ্ক ফল যেমন, কাজুবাদাম,
কাঠবাদাম, আখরোট, এবং যে সকল খাদ্য
সহজে পচে না। এই ধরনের খাদ্য
মনকে সাত্ত্বিক ভাবাপন্ন করে।
...
👉 রাজসিক (রজ গুণ প্রধান) খাদ্য-
অতি ঝাঁঝালো, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত,
অতি লবণাক্ত, অতি তিক্ত, অতিরিক্ত
গরম,অতিরিক্ত ঠাণ্ডা খাদ্য, পিঁয়াজ, রসুন
মনকে রাজসিক ভাবাপন্ন করে।

👉 তামসিক (তম গুণ প্রধান) খাদ্য- অপরিষ্কার,
বাসি, কারো এঁটো খাবার,অতি শুষ্ক,
পচে যাওয়া খাদ্য মনকে তামসিক ভাবাপন্ন
করে।
👉 আসুন দেখে নিই শ্রীমদ্ভাগবদগীতা খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে কি বলা আছে -
আয়ুঃসত্ত্ববলারোগ্যসুখপ্রীতিবিবর্ধনাঃ৷
রস্যাঃ স্নিগ্ধাঃ স্থিরা হৃদ্যা আহারাঃ সাত্ত্বিকপ্রিয়াঃ৷৷১৭/৮
অর্থ: যে সমস্ত আহার আয়ু, উদ্যম, বল, আরোগ্য, সুখ ও প্রীতি বৃদ্ধি করে এবং সরল, স্নিগ্ধ, পুষ্টিকর ও মনোরম সেগুলি সাত্ত্বিক ব্যক্তিদের প্রিয় হয়।
কট্বম্ললবণাত্যুষ্ণতীক্ষ্ণরূক্ষবিদাহিনঃ৷
আহারা রাজসস্যেষ্টা দুঃখশোকাময়প্রদাঃ৷৷১৭/৯
অর্থ: যে সমস্ত আহার দুঃখ, শোক ও রোগ সৃষ্টি করে এবং অতি তিক্ত, অতি অম্ল, অতি লবণযুক্ত, অতি উষ্ণ, অতি তীক্ষ্ণ, অতি শুষ্ক, অতি প্রদাহকর সেগুলি রাজসিকদের প্রিয় হয়।
যাতযামং গতরসং পূতি পর্যুষিতং চ যত্৷
উচ্ছিষ্টমপি চামেধ্যং ভোজনং তামসপ্রিয়ম্৷৷১৭/১০
অর্থ: এক প্রহরের অধিক পূর্বে রান্না হওয়ার ফলে যে সমস্ত খাদ্য বাসি হয়ে গেছে, যা নিরস, অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত, পূর্বদিনে রান্না হয়ে পর্যুষিত এবং অপরের উচ্ছিষ্ট দ্রব্য ও অমেধা দ্রব্যসকল তামসিক লোকের প্রিয়।

👉 সৎ ভাবে উপার্জিত অর্থে কেনা খাদ্য
মনকে সাত্ত্বিক ভাবাপন্ন করে।
সার্থসিদ্ধি দ্বারা উপার্জিত
অর্থে কেনা খাদ্য মনকে রাজসিক ভাবাপন্ন
করে।
অসৎ ভাবে( চুরি/ ঘুষ/ প্রতারনা দ্বারা)
উপার্জিত অর্থে কেনা খাদ্য মনকে তামসিক
ভাবাপন্ন করে।

👉শুদ্ধ মনে প্রস্তুতকৃত ও পরিবেশিত খাদ্য
সাত্ত্বিক। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লোক দেখান
সামাজিকতায় প্রস্তুতকৃত ও পরিবেশিত খাদ্য
রাজসিক। অসৎ ও ধুর্ত লোকের সাথে খাদ্য
গ্রহন/ দ্বারা পরিবেশিত খাদ্য তামসিক গুণ
সম্পন্ন।

👉 যে খাদ্য গ্রহনের সময় ভগবানের নাম
নিয়ে শুরু ও শেষ করা হয় তা সাত্ত্বিক
ভোজন। গল্প, হাসি, ঠাট্টা, তামাসার
মাঝে যে খাদ্য খাওয়া হয় তা রাজসিক
ভোজন। মদ, নেশা জাতীয় বস্তু আছে এমন
ভোজন তামসিক।

👉তাজা ফল সাত্ত্বিক গুণ বৃদ্ধি করে, আঁচার
কৃত ফল রজ গুণ ও ফল গাঁজন করে তৈরি মদ/
ওয়াইন তম গুণ বৃদ্ধি করে।

👉 মহিষের দুধ শারীরিক শক্তি বাড়ায়,কিন্তু
সাথে রজ গুণ বৃদ্ধি করে।, অপর দিকে গরুর দুধ
মানসিক শক্তি বাড়ায় কিন্তু সত্ত গুণ
বৃদ্ধি করে।

👉মনের সাত্তিক/রাজসিক/তামসিক ভাবের
শুধুমাত্র ৫% নিয়ন্ত্রন করে খাদ্য, বাকি ৯৫%
মানুষের কর্ম, চিন্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

👉 সৎ চিন্তা,সৎ কর্ম, সৎ সঙ্গ, মিষ্ট ভাষা,
ভগবানে ভক্তি, নিয়মিত পুজা আচার, ধর্ম
গ্রন্থ পাঠ, মন্দির দর্শন মনের সাত্ত্বিক ভাব
বৃদ্ধি করে। অপরদিকে লোভ, লালসা, স্বার্থ
সিদ্ধির চিন্তা রাজসিক ভাব বাড়ায়। অসৎ
সঙ্গ, চুরি, ডাকাতি, অপরের
ক্ষতি চিন্তা মনে তামসিক ভাব বৃদ্ধি করে।
সত্ত্বং রজস্তম ইতি গুণাঃ প্রকৃতিসংভবাঃ৷
নিবধ্নন্তি মহাবাহো দেহে দেহিনমব্যয়ম্৷৷ ১৪/৫
অর্থ: হে মহাবাহো, জড় প্রকৃতি থেকে সতঃ, রজঃ ,তমঃ এই তিনটি গুণের প্রকাশ হয়। জীব যখন জড়া প্রকৃতির সংর্স্পশে আসে তখন সে তিনটি গুণের দ্বারা আবদ্ধ হয়।
তত্র সত্তম নির্ম্মলত্বাত্ প্রকাশকম অনাময়ম ।
তত্র সত্ত্বং নির্মলত্বাত্প্রকাশকমনাময়ম্৷
সুখসঙ্গেন বধ্নাতি জ্ঞানসঙ্গেন চানঘ৷৷১৪/৬
অর্থ: হে নিষ্পাপ, এই তিনটি গুণের মধ্যে সত্ত্ব গুণ অপেক্ষাকৃত নির্মল, প্রকাশক এবং পাপশুন্য। এই সত্ত্ব গুণ আমি সূখী এই প্রকার সূখাশক্তি এবং আমি জ্ঞানী এই প্রকার জ্ঞান-শক্তি দ্বারা আমাকে আবদ্ধ করে।