👉অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে অন্যান্য সকল পূজায় দেব দেবির প্রতিমা স্থাপন করে পূজা হয় কিন্তু শিব পূজা কেন শিবলিঙ্গ স্থাপন করে পূজা করা হয়। আবার এটা নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেন বিশেষ করে বিধর্মীর লোকজন, তারা শিব লিঙ্গকে পুরুষাঙ্গের অনুকল্প বলে মনে করে জাগতিক ভোগ-বাসনার সাথে মিশিয়ে ফেলে ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ নিয়ে উসকানি দিতে পিছপা হয় না । অনেক সময় তারা শিবলিঙ্গ পূজা করা নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ক্ষ্যপাতে চায়। অনেক হিন্দু ছেলে-মেয়েই এ বিষয়টা জানে কিন্তু ঐ সময়ে তাদেরকে সঠিকভাবে যথাযথ উত্তর দেয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এই পোষ্টটি লেখা, আশা করছি মনোযোগ সহকারে পড়বেন, বুঝবেন ও নিজের সুবিধামত সংগ্রহ করে রাখবেন ।
👉শিব কে?, শিবের মূর্তির অর্থ কি?শিবপূজার তাৎপর্য কি?
মহাদেব বা শিব বলতেই আমাদের চিত্তজগৎ একটি মূর্ত্তির উদয় হয় যিনি যোগাসনে উপবিষ্ট, বাঘের ছাল পরিহিত, ত্রিশুল ও ডমরুধারী, গলায় তার সাপ ইত্যাদি। শিব 'হর' এবং 'শম্ভু' নামেও খ্যাত। তিনি জীবের চিত্তকে, তাদের পাপকে হরণ করেন এবং কালপূর্ণ হলে জীবের জীবনকেও হরণ করেন। এসকল হরণ করার কারণে তার নাম 'হর'। আবার তিনিই জীবের যম-ভয় অর্থাৎ শঙ্কা হরণ করে তাদের কল্যাণ সাধন করেন। তার নাম গ্রহণ করলেই আর কোন শঙ্কাই থাকে না। এ কারণে শংকর তার নাম। আবার 'শম্' শব্দের অর্থও কল্যাণ। যেহেতু তিনি কল্যাণ দান করেন, সেহেতু 'শম্ভু' নামেও তিনি বিশ্বখ্যাত।শিব শব্দটির উল্লেখ বেদে আছে তবে তা রুদ্রের বিশেষণে। পৌরাণিক শিব এবং বৈদিক রুদ্র অভিন্ন। শিবের আটটি বিশেষ রূপকে একত্রে অষ্টমূর্তি বলে। এঁরা হলেন: ভব (অস্তিত্ব), শর্ভ (ধনুর্ধর), রুদ্র (যিনি দুঃখ ও যন্ত্রণা প্রদান করেন), পশুপতি (পশুপালক), উগ্র (ভয়ংকর), মহান বা মহাদেব (সর্বোচ্চ আত্মা), ভীম (মহাশক্তিধর) ও ঈশান (মহাবিশ্বের দিকপতি)। মহাদেবের গাত্রবর্ণ রজতগিরিনিভ অর্থ্যাৎ রুপালী পর্বতের ন্যায় শ্রভ্রবর্ণের। সাদা কেন? কারণ সাদা হল সমস্ত রঙের সমাহার। সমস্ত বর্ণ সকল বিভিন্নতা তত্ত্ব ও তথ্যের সার্থক সমাহার তিনি। তারই প্রতিক ঐ শ্বেতবর্ণ। মহাদেবের কন্ঠে সাপের মালা, তাই তার আরেক নাম ফণিভূষণ। গলায় ওই সাপের অস্তিত্বকে নানা জনে নানা দিকে দিয়ে ব্যাখা করেছেন। এই সাপ হিংস্র ব্যাক্তিতের প্রতিক। সমাজে সাপের মত চরিত্রের অনেক লোক আছে। মহাদেব তাদের প্রেমে বশীভূত করে কাছে রেখে দেন যাতে তারা বাইরে যেয়ে বৃহত্তর সমাজের ক্ষতি করতে না পারে, এই হল শিবেভাবের বৈশিষ্ট্য। তিনি যে ভূতপতি, ভূতেশ্বর। সমস্ত অসৎকে তিনি সৎ এর এবং সমস্ত অশুভকে শুভে নিয়ন্ত্রিত করেন।
এবং এই বিভূতি মৃত্যু পর জীবদেহের বিনাশের সত্যতা তুলে ধরে।
👉শিবের হাতে ত্রিশূল কেন?
বস্তত শিবের পরিচয় ত্রিশূলেই বিজ্ঞাপিত। ত্রিশূলের তাৎপর্য কি? শাস্ত্র বলে ত্রিশূল হলো কুঞ্চিকা বা চাবি। মানুষ সিন্দুকে ধনরত্ন রেখে প্রয়োজনে চাবি দিয়ে তা উন্মুক্ত করে ধনরত্ন বের করে । শিবের ঐশ্বর্য-ভাণ্ডার তত্ত্বময়। সে তত্ত্বগুণময় ও গুণাতীত। ত্রিশূলের ৩টি ফলক-সত্ত্ব,রজ,তমোগুণের প্রতীক। কিন্তু ঐ তিনটি ফলক একটি মাত্র সোজা দণ্ড দ্বারা গ্রথিত। সোজা দণ্ডটিই গুণাতীত তত্ত্বের প্রকাশক। ৩ টি ফলক সৃষ্টি,স্থিতি ও লয়ের প্রতীক এবং সত্ত্ব গুণময় ফলকে আছেন বিষ্ণু, রজগুণময় ফলকে আছেন ব্রহ্মা এবং তমোগুণময় ফলকে আছেন সংহার দেবতা রুদ্র। শিবের ত্রিশূল এই ত্রিশক্তির আধার স্বরুপ। এক শিব তত্ত্বেই ত্রয়ী তত্ত্বের সমাহার। ত্রিশূলের সঙ্গেই থাকে শিবের নিত্যসাথী ডমরু। এই ডমরুর তাৎপর্য্য কি ? ডমরু হল শব্দের বিভিন্ন নাদ এর প্রতিক, সংস্কৃত ব্যাকরণ-প্রণেতা মহামুনি পানিনি ছি্লেন শিবভক্ত, তিনি মহাদেবের আরাধনা করতেন ৪৫ বার ডমরু ধ্বনি করে, এক একবার এক এক রকম নাদ সৃষ্টি হয়, পরে ঐ নাদগুলো্কে তিনি সুত্রাকারে আবির্ভূত করেন, সুত্রগুলো এই রকম - অইউণ। ঋলৃকৃ। কপয়। হল। পাণিনি সুত্রগুলির নাম রাখেন শিবসুত্র। এই শব্দরাজিই হচ্ছে সমস্ত সংস্কৃত স্বর ও ব্যাঞ্জনবর্নের সমষ্টি রূপ। তারপর সেগুলি সঙ্গতি সহকারে বিন্যস্ত করে তিনি রচনা করলেন তার মৌলিক গ্রন্থ “অষ্টাধ্যায়ী”। কথিত আছে বিষ্ণুর অনুরোধে তিনি পঞ্চমুখীশিব রূপ ধারণ করেন এই পঞ্চমুখ হল পঞ্চভূতের প্রতিক।
👉শিব নীল কণ্ঠ । কীভাবে হলেন?
দেবতাগণ অমৃত লাভের আশায় সমুদ্রমন্থন করলেন। সমুদ্র মন্থনে প্রথমেই উত্থিত হলো গরল। এ বিষরাশির তেজে সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস হবার আশঙ্কা দেখা দিল। সকল দেবগণ আত্মভোলা শিবকে ধরলেন এর ব্যবস্থা নিতে। শিব বিনা বাক্য ব্যয়ে এই বিষরাশি পান করে স্বীয় কণ্ঠে ধারণ করলেন। ফলে কণ্ঠদেশ নীলবর্ণ হলো, সে থেকেই শিব নীল কণ্ঠ।
👉শিবলিঙ্গ কি, শিবলিঙ্গ পূজার তাৎপর্য কি?
শিবলিঙ্গ হল মহাদেবকে ধারণা করার বা উপলব্ধি করার নিমিত্তে একটি প্রতীকচিহ্ন। ধ্যানমগ্ন শিবকে/মহাদেবকে এই প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়।আমরা যেমন ধোয়া দেখে আগুনের অস্তিত্ব অনুচিন্তন (অনুধাবন) করি, তেমনি শিবলিঙ্গের মাধ্যমে শিবের অস্তিত্ব উপলব্ধি করি।হিন্দু মন্দিরগুলিতে সাধারণত শিবলিঙ্গের মাধ্যমে শিবের পূজা হয়। একটি সাধারণ তত্ত্ব অনুযায়ী শিবলিঙ্গ হচ্ছে শিবের আদি ও অন্তহীন সত্ত্বার প্রতীক এবং এটি আদি ও অন্তহীন স্তম্ভেরও রূপবিশেষ। নৃতত্ত্বারোপিত মূর্তি ব্যতিরেকেও শিবলিঙ্গ বা লিঙ্গ-এর আকারে শিবের পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। আমরা দেখি, শিবলিঙ্গের উপরের দিকে ৩টি সাদা দাগ থাকে, এবং যা মহাদেবের কপালেও থাকে। তাই শিবলিঙ্গ যদি কোন জননেন্দ্রিয়ই বুঝাতো তবে শিবলিঙ্গের উপরে ঐ ৩ টি সাদা তিলক রেখা থাকত না।।
শিব শব্দের অর্থ মঙ্গলময় এবং লিঙ্গ শব্দের অর্থ প্রতীক; এই কারণে শিবলিঙ্গ শব্দটির অর্থ সর্বমঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার প্রতীক। ১৯০০ সালে প্যারিসে ধর্মীয় আলোচনায় রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ বলেন, "শিবলিঙ্গ ধারণাটি এসেছে অথর্ববেদ সংহিতা গ্রন্থে যূপস্তম্ভ বা স্কম্ভ নামে একপ্রকার বলিদান স্তম্ভের স্তোত্র থেকে, কারণ এখানেই প্রথম শিবলিঙ্গ পূজার কথা জানা যায়। এই স্তোত্রে আদি ও অন্তহীন এক স্তম্ভ বা স্কম্ভ-এর বর্ণনা পাওয়া যায়। এই স্তম্ভটি চিরন্তন ব্রহ্মের স্থলে স্থাপিত। যজ্ঞের আগুন, ধোঁয়া, ছাই, সোম লতা এবং যজ্ঞকাষ্ঠবাহী ষাঁড়ের ধারণাটির থেকে শিবের উজ্জ্বল দেহ, তাঁর জটাজাল, নীলকণ্ঠ ও বাহন বৃষের একটি ধারণা পাওয়া যায়। তাই মনে করা হয়, উক্ত যূপস্তম্ভই কালক্রমে শিবলিঙ্গের রূপ ধারণ করেছে। লিঙ্গপুরাণ গ্রন্থে এই স্তোত্রটিই উপাখ্যানের আকারে বিবৃত হয়েছে। এই উপাখ্যানেই কীর্তিত হয়েছে সেই মহাস্তম্ভ ও মহাদেব রূপে শিবের মাহাত্ম্য"।
জার্মান প্রাচ্যতত্ত্ববিদ গুস্তাভ ওপার্ট শালগ্রাম শিলা ও শিবলিঙ্গের উৎস সন্ধান করতে গিয়ে তাঁর গবেষণাপত্রে এগুলিকে পুরুষাঙ্গের অনুষঙ্গে সৃষ্ট প্রতীক বলে উল্লেখ করলে তারই প্রতিক্রিয়ায় স্বামী বিবেকানন্দ এই কথাগুলো বলেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, শালগ্রাম শিলাকে পুরুষাঙ্গের অনুষঙ্গ বলাটা এক কাল্পনিক আবিষ্কার মাত্র। তিনি আরও বলেছিলেন, শিবলিঙ্গের সঙ্গে পুরুষাঙ্গের তুলনা বৌদ্ধধর্মের পতনের পর বিদেশ হতে আগত ভারতের অন্ধকার যুগে কিছু অশাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তি ও শাসকের মস্তিস্কপ্রসূত উদ্ভট বানোয়াট গল্প।শ্রী স্বামী শিবানন্দও শিবলিঙ্গকে যৌনাঙ্গের প্রতীক বলে স্বীকার করেননি। ঔপন্যাসিক ক্রিস্টোফার ইসারউড লিঙ্গকে যৌন প্রতীক মানতে চাননি। ১৮৪০ সালে এইচ. এইচ. উইলসনও এই একই কথা বলেছিলেন। ব্রিটানিকা এনসাইক্লোপিডিয়ায় "Lingam/Lingham" ভুক্তিতেও শিবলিঙ্গকে যৌন প্রতীক বলা হয়নি। যদিও অধ্যাপক ডনিগার পরবর্তীকালে তাঁর দ্য হিন্দুজ: অ্যান অল্টারনেটিভ হিস্ট্রি বইতে নিজের বক্তব্য পরিষ্কার করে লিখেছেন। তিনি বলেছেন, কোনো কোনো ধর্মশাস্ত্রে শিবলিঙ্গকে ঈশ্বরের বিমূর্ত প্রতীক বা দিব্য আলোকস্তম্ভ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এইসব বইতে লিঙ্গের কোনো যৌন অনুষঙ্গমূলক অর্থ নেই। তাই শিবলিঙ্গ কোনক্রমেই স্ত্রী-পুরুষের মিলিত অঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ নয়।
প্রকৃতপক্ষে শিবলিঙ্গে এমন এক নিগূঢ় ও অনির্বচনীয় শক্তি আছে, যা সহজেই ভক্তবৃন্দের ভেতর মহাদেবের প্রতি ভক্তি আরও বেশি নিবিষ্ট করে। বিশেষভাবে লক্ষ্য করলে এই ভক্তি ভাব অনুধাবন করা যায়। আর এজন্যই, শিবলিঙ্গের এমন সুন্দর তাৎপর্য একমাত্র বিশুদ্ধ চিত্তের অধিকারী ও ধর্মচারী ভক্তবৃন্দরাই বুঝতে পারে।
👉শিবলিঙ্গ সম্পর্কে কিছু উল্টাপাল্টা কথার বিশ্লেষণ-
কিছু আসুরিক মতাদর্শীর দাবি শিব ৬০,০০০ বিবাহ করেছিল সে মারা যাবার পর তার লিঙ্গকে পূজা করা হয় একজন শিষ্টাচার হিন্দু কোন যুক্তিকতায় তার স্ত্রীর দুধ দিয়ে শিবের গোপন অঙ্গ ধৌত করে? এটা কি সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য? এমন কুরুচিপূর্ন আদেশ সৃষ্টিকর্তা দিতে পারেন কি?
এই দাবিটা কোথা থেকে পেয়েছে তার কোন সূত্র নেই, শিব ৬০হাজার বিবাহ করেছিল এটা কোন শাস্ত্রে আছে তা কিন্তু এরা উল্লেখ করেনি, করবেই বা কি করে, মিথ্যাবাদীরা কখনো সত্য লুকাতে পারে?
তবুও একটা কথা বলতেই হয় শিব পার্বতীকে বিবাহ করেছিলেন।
যেই সতী তিনিই আবার পরজন্মে পার্বতী।
.
সৌরপুরাণ ৫৮/১৪ এবং ৫৮/১৫ তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে---
→গৃহীহেতি শিবঃ প্রাহ পার্ব্বতী পর্ব্বতেশ্বরম্।
→তদ্ধস্তে ভগবান্ শম্ভুরঙ্গুলীয়ং প্রবেশয়েৎ।। ১৪
→ইমঞ্চ কলসং হৈমমাদায় ত্বং নগোত্তম।
→যাহি গত্বা ত্বনেনৈব তামুমাং স্নাপায় ত্বরা।। ১৫
.
★বঙ্গানুবাদ- শম্ভু, পর্ব্বতেশ্বরকে কহিলেন, -- আমি পার্বতীকে গ্রহণ করিলাম। পরে দেবীর হস্তে একটি অঙ্গুরীয় প্রদান করিয়া নগোত্তমকে কহিলেন, -- আপনি এই হৈম কলস লইয়া গিয়া সত্ত্বর ইহা দ্বারা সেই উমাকে স্নান করাইয়া দিবেন।
👉শিব লিঙ্গ শব্দের প্রকৃত অর্থ কি ?
👉শিবলিঙ্গে দুধ ঢালা হয় কেনো ?
উদাহরন- দূর্গা বা কালী
সনাতন শাস্ত্রে দূর্গা শব্দটিকে বিশ্লেষন করা হয়েছে এভাবে---
★দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।
★উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।
★রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।
★ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।।
.
★ অর্থাৎ, ""দ" অক্ষরটি দৈত্য বিনাশ করে, উ-কার বিঘ্ন নাশ করে, রেফ রোগ নাশ করে, "গ" অক্ষরটি পাপ নাশ করে এবং অ-কার শত্রু নাশ করে। এর অর্থ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।"
.
★অন্যদিকে শব্দকল্পদ্রুম বলেছে, "দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা বা প্রকীর্তিতা"। অর্থাৎ, যিনি দুর্গ নামে অসুরকে বধ করেছিলেন, তিনি সব সময় দুর্গা নামে পরিচিত।
.
★অসুরেরা মা দূর্গাকে দেখে ভয় পায়, কিন্তু এই জ্ঞানপাপীরা যদি মা দূর্গাকে দেখে যদি ভয় পায় তবে আমার কিছু করার নেই।


